ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয়ের মাস বরণে সিলেটে আনন্দ শোভাযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
বিজয়ের মাস বরণে সিলেটে আনন্দ শোভাযাত্রা বিজয়ের মাস বরণে সিলেটে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে।

সিলেট: ‘সেদিন তারা বাঙালিদের কাছে করেছিল শির অবনত, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।’ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মাস।  তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিজয়ের মাস-২০১৯ বরণে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে সমবেত হয়।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ও মহানগর কমান্ড, জেলা ও মহানগর পুলিশ, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ সরকারের বিভিন্ন দফতর, স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নেতারা অংশ নেন। এছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতা ও সাংবাদিকরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা প্রশাসক এম. কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে এই বিজয় র্যালীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও রাজনীতিবিদ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির সুখ-শান্তির জন্য স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছেন। সেই সময়ে পাকিস্তানের দু:শাসনের মধ্যে জাতির পিতা ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন। তার এই ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত করে বাংলার মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনেছিলেন। সেই দিনটিকে, সেই মাসটিকে স্মরণ করে আজকের এই শোভাযাত্রা।

জেলা প্রশাসক বলেন, শোভাযাত্রা থেকে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানো জাতির জনককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সেই সঙ্গে স্মরণ করছি বীর সেনানীদের, যারা নিজেদের জীবন আত্মাহুতি দিয়ে বাংলাদেশের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছেন।

সেই সঙ্গে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা তাদের স্বজনদের ফেলে ছুটে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীকার আন্দোলনে। আজকের এই বিজয়ের মাসে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। এখন তার কন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এনইউ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।