তিনি বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে চীনের কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন।
রোববার (২ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের ভাইস মিনিস্টার (শুল্ক ও সাধারণ প্রশাসন) ঝাং জিওয়েন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে চীনের উদ্ভাবিত সুপার রাইস নিয়েও কথা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সঙ্গে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন সেটা আরও বিকশিত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোপূর্বে ঢাকা-বেইজিং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন। বাংলাদেশে কৃষির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে চীনের ভাইস মিনিস্টার জানান, এ ব্যাপারে তারা আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলবেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব ক্ষেত্রে চীন অংশীদার হতে আগ্রহী।
ঝাং জিওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের পদ্মাসেতুসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে চীন। বাংলাদেশ থেকে চীন রাইস ব্রান তেল আমদানি করতে চায়।
এছাড়া বাংলাদেশ যেসব কৃষিজাত পণ্য চীনে রপ্তানি করতে আগ্রহী সে সম্পর্কে বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য বলেন। বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্যসহ অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-বিপত্তির অবকাশ থাকবে না।
সাত সদ্যসের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন চীনের শুল্ক আদায় বিভাগের উপ-মহাপরিচালক সান রেনউ, ব্যুরো অব আমদানি ও রপ্তানি নিরাপদ খাদ্যের উপ-পরিচালক ইউ ওয়েঞ্জুন, জিয়ামেন কসটিউম ডিস্ট্রিক্টের উপ-মহাপরিচালক চেন ইউ, ভাইস মিনিস্টারের সচিব, সাধারণ অফিস চু ইউ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের উপ-মহাপরিচালক চেন ইউই ও অর্থনীতি এবং বাণিজ্য কনস্যুলার অফিস তৃতীয় সচিব জিইউ ঝিকিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
জিসিজি/এএ