মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের দক্ষিণচর মশুরা গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। নাজমুল ওই গ্রামের রুহুল আমিন প্রধানের ছেলে।
সহকারী কমিশনার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ আদালতে নিহত নাজমুলের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আর তাই ১০ মাস পর তদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যাওয়ার সময় নাজমুলের পরিবার কোনো সন্দেহ করেনি। মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর নাজমুলের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম ও অন্তরঙ্গ ছবি দেখতে পান নাজমুলের মা নাজমা বেগম। সেই মেয়ের প্ররোচণায় ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে- এমন অভিযোগে মামলা দায়ের করে নাজমুলের মা নাজমা বেগম।
মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসআরএস