জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশের ন্যায় মাগুরার সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শহরের নোমানী ময়দানে ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে তোলে।
মাগুরা শহরের পিটিআই, ওয়াপদা ভবন, জেলা পরিষদ বাংলো, আনছার ক্যাম্প, দত্ত বিল্ডিং দখল করে পাকসেনারা ঘাঁটি স্থাপন করে। পরবর্তী স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের সহযোগীতায় তারা মুক্তিকামী মাগুরাবাসীদের ধরে এনে অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। অসংখ্য মুক্তিকামী মাগুরাবাসীকে হত্যার করে তারা নবগঙ্গা নদীর ঢাকা রোড ব্রিজ ও বর্তমান পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের পাশে পারনান্দুয়ালী ক্যানেলে মরদেহ ফেলে দেয়।
৬ ডিসেম্বর আকাশ পথে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলা এবং স্থানীয় মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পাকসেনারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। ৭ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মাগুরা শহরে প্রবেশ করে পাকবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্প ও গোলা বারুদ দখল করে নেয়। প্রাণ ভয়ে পাকবাহিনী মাগুরা জেলা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কামারখালী হয়ে ফরিদপুরের দিকে চলে যায়। ৭ ডিসেম্বর সকালে মাগুরায় মুক্তিবাহিনীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। জয় বাংলা স্লোগানে গোটা শহরে উড়তে থাকে স্বাধীন দেশের পতাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এনটি