মুক্তিসেনারা একাত্তর সালের এইদিন জেলা শহর মাইজদীতে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে উড়িয়ে ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ।
এ উপলক্ষে বিকেলে জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা, পিটিআই সংলগ্ন নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দখলদারবাহিনী ও রাজাকাররা জেলার শ্রীপুর, কুরিপাড়া, গোপালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে। গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জেলার বামনী, তালমাহমুদের হাট, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হানাদারবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।
নোয়াখালী মুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী, পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশে পালিয়ে যেতে থাকে হানাদারবাহিনী। এসময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়।
৭ ডিসেম্বর সূর্য উদয়ের আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে মাইজদীতে পিটিআই ক্যাম্পে হানা দেয়। সন্ধ্যার আগেই মুক্ত হয় জেলা শহর মাইজদী। শত্রুমুক্ত হয় নোয়াখালী।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ