শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল দল বোমাটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে। আর এর মধ্য দিয়ে জেলা শহরের মানুষের আতঙ্কের অবসান হলো।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দু’টি দল মেহেরপুর আসে।
পরিদর্শক মোদাচ্ছের কাউছারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোমা বিশেষজ্ঞ দল ও পরিদর্শক ইসরাফিল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অপর একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে আসে। সকাল ৮টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক ইসরাফিল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত দল কাজ শুরু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর পরিদর্শক মোদাচ্ছের কাউছারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোমা বিশেষজ্ঞ দল বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
তবে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এটি বোমা ছিল না। সার্কিটের সঙ্গে ডিভাইস থাকায় নেগেটিভ-পজেটিভ এক হওয়ায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই কে কারা এ কাজ করেছে। ডিভাইসযুক্ত সার্কিটের ভেতর বালু ছিল।
তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, তিনি পথে আছেন। এ বিষয়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান ফটকের পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে ডিভাইসযুক্ত বোমাটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে থানা পুলিশ ওই দিন থেকেই ঘিরে রাখে ঘটনাস্থল। এর মধ্যে র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল খুলনা থেকে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে তাদের কাছে এ ধরনের বোমা নিষ্ক্রিয় করার কোনো যন্ত্র না থাকায় তারা ফিরে যান। পরে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দু’টি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে বোমার ব্যাগটির পাশেই আনসারুল্লাহ ইসলামী জঙ্গি সংগঠন লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেই চিরকুটের কারণেই এলাকাই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ