শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাট নদী-বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক আরিফ উদ্দিন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টা ৩০মিনিটে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর জেলার বেদেরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নিহতের নাম হুমায়ুন ওরফে বন্দুকছি (৩৫) বলে জানান তিনি। নিহত হুমায়ুন শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাই বন্দুকছির ছেলে।
এদিকে নিখোঁজের সংবাদে সকাল ৯টা থেকে নৌ-বাহিনীর কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হাকিম জানান, রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ বোগদাদিয়া-১৩ এর সঙ্গে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ মানিকচাঁদ-৪ এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই হুমায়ুন নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন ধারণা করে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। তবে এখন পর্যন্ত নদীর তীরে নিখোঁজদের সন্ধানে কোনো স্বজন আসেননি। নিহত ও আহতদের রাজধানীর সদরঘাট নিকটবর্তী মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুই লঞ্চের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সংঘর্ষ সংঘটিত হওয়া লঞ্চ দুইটি নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
জেডএস