বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ৬ ছাত্রের কাছে অ্যালকোহোল বিক্রির কারনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ঐ কেমিকেল বিক্রেতা রাফি হোমিও হলের মালিক রফিকুল ইসলাম ও দোকানের কর্মচারীকে থানায় এনেছি।
এর আগে কুষ্টিয়ায় বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিষাক্ত তরল পান করে ৩ কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ৩ কলেজছাত্র অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত কলেজছাত্ররা হলেন- শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত. মফিজ উদ্দিনের ছেলে বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোড়ার জাহিদুর রহমান সাজিদ (১৯), থানাপাড়া এলাকার আরমান আলীর ছেলে পাভেল (২০) এবং কুঠিপাড়া এলাকার সাগরের ছেলে ফাহিম (১৮)।
গুরুতর অসুস্থ শান্ত, আতিকুল ও সুরুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শী কুষ্টিয়া ইসলামী কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা ঠিকাদার রাজু আহমেদের ছেলে শান্ত বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ২টার দিকে বন্ধু সুরুজের জন্মদিনের পার্টি উপলক্ষে শহরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কেক কাটাসহ পার্টির আয়োজন ছিল। সেখানে কোমল পানীয় টাইগারসহ হালকা কিছু খাবারের ব্যবস্থা ছিল। তখন আতিকুল একটি বোতলে অ্যালকোহল নিয়ে আসেন। পরে সবাই অ্যালকোহলের সঙ্গে কোমল পানীয় মিশিয়ে পান করি। খাওয়া দাওয়া শেষে আড্ডা দিয়ে বাড়ি চলে যাই। বিকেল তিনটার দিকে পেট ব্যথাসহ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। হাসপাতালে আসার পর দেখি আমরা বন্ধুরা সবাই অসুস্থ হয়ে এখানে এসেছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের তদন্তের দায়িত্ব পালনকালে উপ-পরিদর্শক সামছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। ব্যবহৃত খালি সেই বোতলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, এ মুহুর্তে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তারা ছয়জনই কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএমএস