শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আহত মানিক সর্দ্দারের মৃত্যু হয়। দুপুরের দিকে নিহত মানিকের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় মিরপুর থানা পুলিশ।
ছেলে মাসুম অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার বাবা খড় ব্যবসা করি। নিজেদের আলমসাধুতে করে খড় নিয়ে গিয়ে গ্রামে-গ্রামে বিক্রি করি। মাস খানেক আগে ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর এলাকার রিজেক মৃধা নামে এক দোকানির কাছে খড় বিক্রি করলে সেসময় তিনি মূল টাকা থেকে ৩৬৫ টাকা বাকি রাখেন। গত ২৯ নভেম্বর সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন রিজেক মৃধা। তখন আমার বাবা তাকে বলেন- ‘ভাই টাকা দেওয়ার কথা ছিল, টাকাটা দেন। আমরা গরিব মানুষ। ’
এ কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে আঘাত করেন এবং আমাকেও মারপিট করেন রিজেক মৃধা। পরে তার কয়েকজন লোকজন এসেও আমাদের মারপিট করে। স্থানীয়রা আমাদের দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর দু’দিন পরে হাসপাতাল থেকে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আমরা ভেড়ামারায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাসুমের বড় ভাই সুজন জানান, আমরা ভেড়ামারা থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু ভেড়ামারা থানায় খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, ‘তোরা নিজেরায় তো মেরেছিস। আর অভিযোগপত্র হারিয়ে গেছে। ’
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ্র প্রধান বাংলানিউজকে জানান, নিহত মানিক সর্দ্দার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে থানা থেকে সেটাতো হারানোর কথা না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে এলে মামলা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এসআরএস