সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।
রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসীদের জন্য উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দূতাবাস সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। তিনি প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের উন্নয়ন ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা আজ সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার আনিসুল হক ও বক্তব্য দেন। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিফেন্স এ্যটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী।
এছাড়া রিয়াদের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
টিআর/এনটি