শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহত্তর ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, সাংবাদিকরা রুটি রুজির জন্য কাজ করে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আইনজীবী আর সাংবাদিকদের কাজ প্রায় একই ধরনের। আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন আছে। তারা সংগঠনগুলো থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। সাংবাদিকরাও এরকম সংগঠন করতে পারে। এতে তারাও উপকৃত হবে। সাংবাদিকদের জন্য ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অল্প অল্প টাকা জমিয়ে রাখলে অসুস্থ হলে বা মৃত্যু বরণ করলে একসঙ্গে অনেক টাকা পেতে পারে। আইনজীবীদের জন্য এমন ব্যবস্থা আছে।
‘প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর শ্রমিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড নির্ধারণ করা হয়। সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড চালু হয়েছে। সাংবাদিক ও মালিকদের একান্ত সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়িত হলে সব সংবাদকর্মী এর সুফল পাবে। ’
এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের সুফল এবং কুফল বর্ণনা করে তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে কোনো এলাকার একজন থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানে পিয়ন থেকে শুরু করে সব পদে ওই এলাকার মানুষ চাকরি পেয়ে যায়। এতে অন্য জেলার মানুষ বঞ্চিত হয়। এটাকে আমি কুফল হিসেবে দেখি। আর সুফলের কথা বলতে গেলে এই সংগঠনের মাধ্যমে একটি এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উঠে আসে। বৃহত্তর ঢাকার কথা বলতে গেলে এখানকার অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এইগুলো সংরক্ষণ করা থেকে শুরু করে সবার কাছে তুলে আনার কাজটি আরও সহজ হয় এই সংগঠনের মাধ্যমে। কিছু কিছু সাংবাদিকের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি তাদের জানি বুঝি। তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কার্তিক চ্যাটার্জি। এসময় আরও বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক নয়ন, আক্তার হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
পিএস/এইচএডি/