মামলায় একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বজলুর রহমান সরদারসহ ৮ জন নামীয় ও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে
আহত যুবলীগ নেতার ভাই ফরিদ উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪/৫ বছর আগে ঝালকাঠী জেলার একটি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আসামি হামজাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যুবলীগ নেতা শহীদ সরদার তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন।
আহত যুবলীগ নেতা শহীদ সরদার ও তার ভাই বাচ্চু সরদার উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন সরদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা শহীদ সরদার ও খায়ের ঘটিচোরা মাদ্রাসার সহ-শিক্ষক আ. সালাম ওই রাতে মিরুখালী বাজারের দলিল লেখক সিদ্দিক জমাদ্দারের ঘরে বসে জমি-জমা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখছিলেন। রাত ৯টার দিকে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসহ রামদা নিয়ে ওই ঘরের মধ্যে ঢুকে যুবলীগ নেতা শহীদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় যুবলীগ নেতা শহীদের চিৎকারে তার বড় ভাই বাচ্চু সরদার গিয়ে তাদের বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হক মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ