রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ওই নারী এ হুমকি দেন।
তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানার মির্জানগর এলাকার আব্দুর রবের মেয়ে রুনু আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে রুনু আক্তার দাবি করেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মীয় বিধান মেনে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাকে বিয়ে করেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চর শামুকদিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল। ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয় আমাদের। তবে বেশ কিছুদিন আগে সে আমাকে ঢাকায় রেখে বাড়ি চলে আসে। এর পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। আমি ঠিকানা অনুযায়ী গত ১৮ ডিসেম্বর শরিফুলের বাড়িতে এলে শরিফুলের পরিবার আমাকে অস্বীকার করে।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সামনে শরিফুলের মা রেবেকা কাগজে লিখে দেন যে আমার দাবি তিনি মেনে নিয়েছেন। আমাকে পুত্রবধূ বলে তিনি মেনে নিয়েছেন। এই বলে আমাকে ঢাকায় যেতে বলেন। কিন্তু আমি ঢাকা চলে যাওয়ার পরে আমাকে তারা আবার অস্বীকার করে। আমি আমার স্বামী, সংসার ফিরে পেতে চাই। যদি স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর প্রাপ্য মর্যাদা না পাই তাহলে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো।
এ ব্যাপারে একাধিকবার শরিফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে নম্বর বন্ধ করে দেন। পরবর্তীকালে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ