কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) খালিশপুরের দৌলতপুর জুট মিল ও দিঘলিয়ার স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা বিআইডিসি রোডের প্লাটিনাম গেটের পূর্ব পাশে ও প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিকরা মিলের পশ্চিম গেটে প্যান্ডেল করে এ অনশন পালন করছেন।
এছাড়া ক্রিসেন্ট গেট ও খালিশপুর জুট মিল গেটেও অনুরূপ প্যান্ডেল করে অনশন করছেন স্ব স্ব মিলের শ্রমিকরা।
মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে খালিশপুর বিআইডিসিরোড, আটরা ও রাজঘাট এলাকার খুলনা-যশোর মহাসড়কে শ্রমিকরা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
পাটকল শ্রমিকদের এ অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভিন্ন পদক্ষেপ। পুলিশের পক্ষ থেকেই খালিশপুর বিআইডিসি রোডের প্রবেশদ্বার কিছুটা বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই রোডে যাতে ভারী কোন যানবাহন না ঢুকতে পারে সেজন্য কাশিপুর মোড় ও কদমতলা মোড়ে ব্যারিকেট দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রিকশা, ইজিবাইক, সাইকেল, মোটরসাইকেল ছাড়া ভারী কোন যানবাহন ওই সড়কে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শ্রমিকরা বলেন, কাঁথা বালিশ নিয়ে ফের আমরণ গণঅনশনে বসেছি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উঠবো না।
আলীম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম লিটু বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে মৃত্যু হলেও অনশন ভাঙবো না।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, শ্রমিকরা মজুরি না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, ঘর ভাড়া দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। সব সেক্টরে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হলেও পাটকল শ্রমিকদের বেলায় অনীহা করা হচ্ছে। মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও পিপিপি বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
এর আগে ১১ দফা দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। এরপর অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিনে রাত ১২টায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনশন স্থগিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর বিজেএমসিতে ও ২৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দাবির ব্যাপারে কোনো সমাধান না হওয়ায় আবারও অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/