সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুর বাছির, চাচা আব্দুর মোছাব্বির, জামশেদ আলী, নাসির উদ্দিন এবং চাচাতো ভাই শাহারুল।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সেদিন গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তুহিনকে ঘরের বাইরে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকারীরা দীর্ঘ সময় নিয়ে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কাটে এবং পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
তুহিনের পেটে ঢোকানো সেই ছুরি দুটিতে সালাতুল ও সোলেমান নাম লিখা ছিল, তারা তুহিনের বাবা-চাচাদের প্রতিপক্ষ। হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহের তীর যেন প্রতিপক্ষদের দিকে যায় সেজন্য ছুরিতে তাদের নাম লেখা হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তুহিনের চাচা নাছির ও চাচাতো ভাই শাহারুল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা ও প্রমাণের ভিত্তিতে তুহিনের বাবা, চাচা এবং চাচাতো ভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছি।
গত ১৪ অক্টোবর রোববার রাত ৩টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে শিশু তুহিনকে (৫) হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তুহিনের পেটে দুটি ধারালো ছুরি বিদ্ধ ছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কাটা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএ