সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রটোকল রিলেটিং টু দ্য মাদ্রিদ এগ্রিমেন্ট কনসারনিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব মার্কস (মাদ্রিদ প্রটোকল) শীর্ষক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৮৯-এর মাদ্রিদ প্রটোকলে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অত্যন্ত সময়োচিত। বাংলাদেশের মেধাসম্পদ সুরক্ষা ও গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ প্রটোকলে যোগদান গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে মাদ্রিদ ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলাতে তাদের ট্রেডমার্কস নিবন্ধন করতে পারবেন। সহজে বাংলাদেশি ট্রেডমার্কসকে বিদেশে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নতি ঘটবে।
মাদ্রিদ প্রটোকলে যোগদানের পর মেধাস্বত্ব এবং ট্রেডমার্কস সংশ্লিষ্ট দেশীয় আইন-বিধিসমূহকে মাদ্রিদ প্রটোকলের বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিচারিক প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাদ্রিদ প্রটোকল হচ্ছে ট্রেডমার্কস নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনার একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা। এ সিস্টেমটিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রেডমার্কস নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সিস্টেমে বর্তমানে একক আবেদনের মাধ্যমে বিশ্বের ১২২টি দেশে ট্রেডমার্কস সুরক্ষা লাভ করা যায়। তাই এ সিস্টেমটি বিশ্বব্যাপী ট্রেডমার্কস নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনার একটি সুবিধাজনক ও অর্থ সাশ্রয়ী সিস্টেম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয় মাদ্রিদ সিস্টেমের সমস্যাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে। ইতোমধ্যে এশিয়ার সিংহভাগ বাণিজ্যে প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহ যেমন- ভারত, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামসহ উন্নয়নশীল দেশ ভুটান, আফগানিস্তানও এ সিস্টেমে যোগদান করেছে। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ভুটান ২০০০ সালে, ভারত ২০১৩ সালে ও আফগানিস্তান ২০১৮ সালে মাদ্রিদ প্রটেকলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/