সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী পাটকলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দাবি আদায়ে শ্রমিকরা তখন দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশা বলেন, চাকরি জীবনে অনেক সরকারি কর্মকর্তা অনিয়মে জড়িয়ে পাপ করেছেন। কিন্তু শ্রমিকরা কখনও অন্যায় করেননি। তারা পবিত্র। শ্রমিকদের এই অসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মকর্তাদের ‘পাপ মোচনের’ এখন সময় এসেছে। শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নিজেদের পাপ মোচন করা উচিত।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মন্ত্রণালয়ে এবং বিজেএমসিতে কিছু শ্রমিকবিরোধী লোক আছে। যারা শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবে না। নিজেদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে তারা শ্রমিকদের যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নিচ্ছে না। অথচ এই শ্রমিকরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই যেসব কর্মকর্তা এই দাবি সমর্থন করছে না বা পাশে থাকছে না, তাদের উচিত এখন এগিয়ে আসা।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত দ্রব্যের যে দাম, সেই দামের সঙ্গে মিল রেখে রাষ্ট্রায়ত্ত এই শিল্প-কারখানার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করলে শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাবেন। এমনটি হলে তাদের এই শীতের মধ্যে আন্দোলন করতে হতো না। কিন্তু কিছু আমলা নিজেদের স্বার্থের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, এই শ্রমিকদেরই ইয়াহিয়া, আইয়ুব খান ভয় পেতেন। কিন্তু আমরা? আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাবো, এই শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখেন। যারা বিদেশে টাকা পাচার করছেন, তারা দেশের ক্ষতি করছেন। তাই সবার আগে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া দরকার। শ্রমিকদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা দরকার।
বাদশা বলেন, আমি সবসময়ই মেহনতি মানুষের পাশে আছি। আজ রাস্তায় এসে বসেছি। এরপর পার্লামেন্টে গিয়ে কথা বলব। আমি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব, যেন শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝে পান। কারণ শ্রমিক বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফেরদৌস জামিল টুটুল, সাধারণ সম্পাদক অসিত পাল, সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান খান, কাটাখালি পৌর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলাল মোল্লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এসএস/টিএ