মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া ইংরেজি নতুন বছর-২০২০ উদযাপনের জন্য রাজশাহীবাসীর প্রতি বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়েছে।
আরএমপির নির্দেশনায় বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে কোনোভাবেই পটকা বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না। হাসপাতাল ও ক্লিনিকসহ স্পর্শকাতর স্থানগুলোর আশেপাশে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
এছাড়া রাজশাহী মহানগর এলাকায় সব ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই খোলা স্থানে বা বাড়ির ছাদের ওপর অনুষ্ঠান বা কনসার্ট করা যাবে না। সন্ধ্যার মধ্যেই থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মহানগর এলাকায় আজ প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে যানবাহনে তল্লাশি চলছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই আটক করা হবে। মহানগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো হামলার আশঙ্ক নেই। তবে ঢাকা সদর দফতরের নির্দেশনায় বাড়তি নিরাপাত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে রাতে মহানগরে কেউ যেন মাদকাসক্ত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এসএস/আরআইএস