মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ছাড়পত্র পেয়ে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।
হাসপাতাল ছাড়ার সময় ভিপি নুর সংবাদিকদের বলেন, আমাকে অ্যারেস্ট করার জন্য তড়িঘড়ি করে রিলিজ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন লাইট বন্ধ করে আমাদের মারধর করে ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত ও সেক্রেটারি সাদ্দাম। তারা আমার ভাই আমিনুরকে পিস্তলের বাট দিয়ে মেরে তিন তলা থেকে ফেলে দেয়। অন্যদেরও এভাবে মেরেছে। সরকারের দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কথা বলায় আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে।
‘আমি হাঁটতে পারি না, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। কাশি দিলে পাজরে ব্যথা পাই। মাথা ঘুরায়, চোখে ঝাপসা দেখি। আমার চিকিৎসার ব্যাপারে সন্দেহ আছে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য আটবার হামলা করা হয়েছে। আর এগুলো করা হচ্ছে সরকারের ইশারায়। ’
ভিপি নুর বলেন, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ছাত্রলীগ যেভাবে হামলা করেছে, যদি এদের বিচার না হয় তাহলে অন্য সরকার এলে এভাবেই চলতে থাকবে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের যেন বিচার হয়।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কয়েকবার মারধরের ঘটনা হয়েছে। এগুলোর কোনো বিচার হয়নি। সরকার ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার ওপর হামলা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে মৃত্যু নিশ্চিত করতে আমার ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। মামলা করতে গেলে নেয়নি। পরে আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসার মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক বলেন, ভিপি নুরকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তার কাছে ছাড়পত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া নাজমুল ও ফারাবী ও ফারুককে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাদের অবস্থা ভালো আছে। কোনো সমস্যা হলে ফলোআপে আসতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
পিএম/আরবি/