মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নতুন বছর গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ কী দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরে গণতন্ত্রের জন্য দুই সিটি নির্বাচন হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ।
জয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি জানিয়ে কাদের বলেন, আমরা নির্বাচন পরিচালনায় জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আমাদের কাজ যথারীতি শুরু হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির কে যে কোন কথা বলে বুঝি না। তাদের এক একজন একেক রকমের কথা বলে। তাদের নেতাদের মধ্যে বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তারা এলোমেলো হয়ে গেছে। তাদের দলের দু’জন সিনিয়র লিডার দল থেকেই চলে গেছেন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য। আমার মনে হয় তারা নির্বাচনে আসবেন ও শেষ পর্যন্ত তারা থাকবেন।
কাদের বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশে যে সব নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগ বিএনপি জিতেছে। এখানে হারানোর কিছু নেই। ইভিএম হলে তাদের আরো বেশি করে জেতার সম্ভাবনা থাকতে পারে। নির্বাচনে ইভিএম ত্রুটিযুক্ত মনে করার কোনো কারণ নেই। এর আগে আমাদের দেশে ইভিএম নিয়ে কোনো ত্রুটি দরা পড়েনি। এ পদ্ধতি দিয়ে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। এনিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।
‘বিএনপির একটি পুরনো অভ্যাস হলো নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যায়। তারা নানান অভিযোগ তোলে, আগেই তারা হেরে যাওয়ার অজুহাত খোঁজে এবং জনগণের সামনে তা উত্থাপন করে। নির্বাচনের ফলাফলের পর তোতা পাখির মতো তারা বুলি আওড়াতে থাকে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। ’
নতুন বছরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হবে, এক্ষেত্রে বিরোধীদল একটি বড় পার্ট। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কোনো মেসেজ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধীদল সব সুযোগ-সুবিধা পাবে। তারা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে। সভা-সমাবেশ করতে পারবে। স্পিকার তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। সরকারও নমনীয়। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে সরকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কাজেই বিরোধীদলের জন্য সভা-সমাবেশে আমরা এখনও কোনো কার্পণ্য করছি না, নতুন বছরেও তারা সে সুবিধা পাবে।
বিরোধীদের আস্থার জন্য কোনো উদ্যোগ থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের বিরোধীদল সরকারের ওপর আস্থা রাখে না। একটি দেশে একটি বিরোধীদল দেখান সেটা প্রতিবেশী ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাসহ উন্নত কোনো দেশেই বিরোধীদল সরকারিদলকে আস্থায় নেবে না। তাহলে তাদের রাজনীতিটা কোথায় থাকে।
কাউন্সিলদের মনোনয়নে ক্লিন ইমেজ দেওয়া হবে এ বিষয়ে কতটা করতে পেরেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে সেগুলো আমরা সংশোধন করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
জিসিজি/এএ