বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর মিয়াপাড়া এলাকায় ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটায় যান তিনি। এসময় বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন সহকারী হাইকমিশনার।
তবে কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক আবাস প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি তিনি। বললেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে, রাজশাহীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে অন্যত্র সরিয়ে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটাকে জাদুঘর এবং চলচ্চিত্র কেন্দ্র করার দাবি তুলেছেন। বর্তমানে সেখানে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হয়েছে। তবে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি বিজড়িত কয়েকটি ঘর এখনও অবশিষ্ট আছে।
তার পাশেই গড়ে উঠেছে কলেজের আধুনিক ভবন। এনিমি প্রোপার্টি হিসেবে এরশাদ সরকারের আমলে এই বাড়িটি তুলে দেওয়া হয়েছিল কলেজের হাতে। এরইমধ্যে বাড়ির অনেকটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সাইকেল গ্যারেজ তৈরির জন্য ভেঙে ফেলা হচ্ছিল আরও কিছু অংশ। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সংস্কৃতিমনাদের মধ্যে। অবিলম্বে ভাঙার কাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে রাজশাহী এবং ঢাকায় পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচিও।
এ নিয়ে ওপর বাংলা থেকেও প্রতিবাদ আসতে শুরু হয়। স্বনামধন্য ১২ জন চলচ্চিত্র পরিচালক ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নতুন করে জমিটির মাপজোখ করে দেখছেন। এরইমধ্যে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা পরিদর্শনে যান ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার।
এ সময় ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি সাজ্জাদ বকুল ও হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসএস/টিএ