বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের পেছন থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আব্দুস সালাম। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ৬ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী রাহিমা আক্তার।
মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের বড় ভাই আবু কালাম, শফিকুল ইসলাম, শরিফ, বোন রহিমা, ভাতিজা রনি ও মা মাজেদা বেগম। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হামছাদী এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে আব্দুস সালামের সঙ্গে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল তার ভাইদের। এসবের জেরে এক মাস আগে সালামকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার ভাইয়েরা। পরে সালাম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য সালামের ছেলে ওই বাড়িতে জন্ম নিবন্ধনপত্র আনতে গেলে তাকে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিকেলে সালাম ছেলের জন্ম নিবন্ধনপত্র আনতে আবারও ওই বাড়িতে যান। পরবর্তী সময়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে অজ্ঞান অবস্থায় আব্দুস সালামকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
স্বামীর মৃত্যু প্রসঙ্গে সালামের স্ত্রী রাহিমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাসুর ও জা’দের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জেরেই আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। গত বুধবার সকালে স্কুলে ভর্তির জন্য আমার ছেলে ওই বাড়িতে জন্ম নিবন্ধনপত্র আনতে গেলে তারা আমার স্বামী বা আমাকে গিয়ে তা নিয়ে আসতে বলে। আমার স্বামী বিকেলে গেলে সেখানে গেলে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সালাম নিহতের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এমআরপি/এইচজে