আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গুজবনির্ভর হয়ে পড়েছে শেয়ার বাজার। গুজবের কারণেই তা ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না
অর্থমন্ত্রী জানান, গুজব ছড়িয়ে যারা বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
‘শক্ত একটা আইন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শক্ত আইন না করলে গুঁজবকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। ’
বৈঠকে পুঁজিবাজারের পরিচালনা পর্ষদের তুলে ধরা বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এক্সেস টু ব্যাংকিং ফাইন্যান্স তাদের অন্যতম দাবি ছিল। যেভাবে কোনো ক্লায়েন্ট ব্যাংকে গিয়ে টাকা বড় করতে পারে, ঠিক সেভাবে পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তারাও যেন তেমন সুযোগ পান। ব্যাংকে ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের ভিত্তিতে অন্যরা যেভাবে লোন পায়, সুযোগ-সুবিধা পায়, পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্যও সেই সুযোগ-সুবিধা থাকবে। সিকিউরিটি দিতে হবে। আমরা বলেছি, আমাদের জানা মতে, এই মুহূর্তে দেশের কারও জন্যই রেস্ট্রিকশন নেই যে, ব্যাংকে যেতে পারবে না। ’
‘পুঁজিবাজারে আরও ভালো দিক হলো, এখানে যারা ব্যবসা করেন অতীতে তারা লোন নিয়ে সরকারের টাকা শোধ দিয়েছেন। সুতরাং আমি মনে করি যে, তাদের এসব সুবিধা দেওয়া ভালো। কিন্তু, আমি বলেছি, আমরা কারেন্সি ডিভ্যালু করবো না। কারেন্সি ডিভ্যালু করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের রেমিট্যান্স খাতেও বলা হচ্ছিল ডিভ্যালু করার জন্য। রেমিট্যান্স খাতে ডিসেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। এক মাসে একখাতে এতো প্রবৃদ্ধি ইতিহাস। এটা আর কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা এই খাতে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছি। এর মাধ্যমেই আমরা এ সক্ষমতা অর্জন করেছি। সুতরাং কোনো খাতেই কারেন্সি ডিভ্যালু করার সম্ভাবনা নেই। আরেকটা দাবি ছিল- আমরা তাদের যে ট্যাক্স কাটি তার হার কমানো। আমরা বলেছি, যতটুকু সম্ভব আমরা বিবেচনা করবো। ’
বৈঠকে ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী, মিনাহাজ মান্নান, বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এবং কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এমআইএস/এইচজে