বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) রাতে ফার্মগেইটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কার্যালয়ে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পাটমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন পাটকলের শ্রমিকদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী পে স্লিপ দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পাটকল সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল হামিদ সরদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আমাদের অনশন প্রত্যাহার করেছি, ১৬ তারিখের ভিতরে আমাদের পে স্লিপ বুঝিয়ে দিতে হবে। এটি যদি ১৬ জানুয়ারির মধ্যে আমরা না পাই তাহলে পরবর্তীতে কিছু ঘটলে এর দায় আমাদের থাকবে না বলে তিনি জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফার্মগেইটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ছাড়াও দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে পাটকল শ্রমিক নেতা, সিবিএ, নন-সিবিএ সংগঠনের প্রায় ৫০ জন অংশ নেয়।
এদিকে, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা গত ২৩ নভেম্বর থেকে সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধর্মঘটের মত কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ তাদের কর্মসূচি ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় খুলনা, রাজশাহী ও নরসিংদীর অন্তত ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা ২৯ ডিসেম্বর ফের আমরণ অনশনে বসেন।
পাটকলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করার দাবিও রয়েছে তাদের ১১ দফার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘন্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এসএমএকে/এমএমএস