বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) রাতে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় (নং-০২) শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন করার ভীতি প্রদর্শন করে পুনঃধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওই তরুণী।
অভিযুক্ত আব্দুর রকিব খান বাপ্পি মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইলে।
এদিকে, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, বাপ্পি গত আড়াই বছর আগে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যে গত ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যে এসআই বাপ্পি একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ে না করার জন্য টালবাহানা করছিল এসআই বাপ্পি।
বৃহস্পতিবার সকালে এসআই বাপ্পি আগারগাঁও এলাকার একটি বাসায় তরুণীকে ডেকে নেয়। সেখানে গেলে সে কিছু গোপন ভিডিও দেখায় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
সেখান থেকে তরুণী শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বাপ্পিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর দিনভর অভিযুক্তর পরিবারের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ তরুণীর অনড় অবস্থানের কারণে রাতে মামলা দায়ের করা হয়।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনসি বাংলানিউজকে জানান, মামলা নথিভুক্ত হবার পর ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাপ্পিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
পিএম/এমএমএস