জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে চোরাচালানীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণসহ মূল্যবান সম্পদ জমা রাখা হয় কাস্টমস হাউসের লকারে। গত ৯ নভেম্বর সকালে লকার থেকে চুরি হয় প্রায় ২০ কেজি স্বর্ণ।
কাস্টমস ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এখন ও দাপটের সঙ্গে রয়ে গেছে এনজিও নামের বহিরাগতরা। কাস্টমস হাউজে প্রবেশ গেট, পণ্যগুদামের নিয়ন্ত্রনে এমনকি অফিসিয়াল কাজ করতে দেখা যায় বহিরাগতদের।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে বলেন, সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন তথ্য প্রযুক্তির সময় চোর ধরা কোন কঠিন কাজ হবে না।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, নীরাপত্তাহীনতা মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের এত বড় সম্পদ যারা অবহেলায় রেখেছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এছাড়া কাস্টমসে অবৈধ প্রবেশ রোধ করতে হবে। প্রয়োজনে রেজিস্টার ও ফিঙ্গার প্রিন্ট সিষ্টেম চালু করা যেতে পারে।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, কাস্টমসের অবহেলার কারনে সরকারের এ সম্পদ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন থেকে সতর্ক হওয়া দরকার। অপরাধীকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হলে আগামীতে এমন ঘটনা আবারও ঘটবে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনা কাস্টমসের সব অর্জনকে যেন ম্লান করে দিয়েছে। চোরকে দ্রুত ধরা দরকার, যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে সরকারের কোন সম্পদ চুরি করতে সাহস না পায়। প্রয়োজনে বিষয়টি বড় তদন্ত সংস্থ্যার মাধ্যমে যেন দ্রুত রহস্য উদঘাটন হয় তার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, এখন পর্যন্ত স্বর্ণ উদ্ধার বা জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে
মামলাটি পোর্ট থানা থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন তারা বিষয়টি দেখছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর সকালে বেনাপোল কাস্টমস অফিসে এসে কর্মকর্তারা দেখেন কে বা কারা কাস্টমসের লকার খুলে প্রায় ২০ কেজি স্বর্ন চুরি করে নিয়ে গেছে। তবে সেখানে আরও স্বর্ন, ডলার ও মূল্যবান সম্পদ ছিল, কিন্তু তা অক্ষত ছিল। এ নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পোর্ট থানায় মামলা করে। পুলিশ চোর সন্দেহে প্রথমে কাস্টমসের ৬ জনকে ধরলেও পরে তাদের কাছ থেকে তেমন কোন তথ্য না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়। মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর মামলা চলে যায় সিআইডিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫১ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
জেআইএম