শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে মন্দিরগুলোতে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ডকুমেন্টেশনের কাজ করা হয়েছে।
ড. আতাউর রহমান বলেন, প্রত্নতত্ত্ব এ নিদর্শনগুলো আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও উদ্ধার করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, এসব নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো হারিয়ে যাবে। তাই এসব নিদর্শন সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক এ নিদর্শন সংরক্ষণের বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ছাগলনাইয়ার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রস্তাবনার অর্থ বরাদ্দ পেলে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর নির্মাণ, পর্যটকদের জন্য শমসের গাজী দিঘী ও কৈয়ারা দিঘীর ঘাট সংস্কার, চারপাশে চলাচলের রাস্তা নির্মাণসহ ধ্বংস হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণে পদক্ষেপ নেবে অধিদপ্তর।
প্রস্তাবনার ব্যাপারে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই মন্ত্রণালয় সাড়া দেবে।
ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, বিগত বহু বছর নিদর্শনগুলো সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এসব নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মাঠে নেমেছে।
ফিল্ড অফিসার শাহীন আলম, গবেষণা সহকারি ফারুক রুবেল, স্থানীয় কাউন্সিলর মোজাহারুল ইসলাম মুছা, সার্ভেয়ার চাই থু ওয়াই মারমা, ফোরম্যান অনয় মোহন্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অধিদপ্তরের আরও ১০ কর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এসএইচডি/এবি