শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পিংনা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সামনের তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে লালনপালনের ভার নেওয়া পূর্ণিমা পিংনা গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী।
শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ব্যাপারে আবুল হোসেন জানান, শনিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় তারা রাস্তার পাশে একটি গর্তে বাচ্চাটিকে কাঁদতে দেখে। পরে মুসল্লিদের পরামর্শে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।
পরে তার ছেলে আব্দুল জলিলের স্ত্রী পূর্ণিমা শিশুটির দায়িত্ব নেন। জলিল-পূর্ণিমা দম্পতির ঘরে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ঘরে আর সন্তান আসছিল না। খুশি মনেই তারা ছেলে নবজাতকটি সন্তান হিসেবে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
এ ব্যাপারে পূর্ণিমা বেগম বলেন, ছেলেটি পেয়ে আমরা খুশি। ওর মা ওকে সন্তানের স্বীকৃতি না দিলেও আমরা মানুষের মতো মানুষ করবো। ছেলেটির নাম রাখা হয়েছে আব্দুল্লাহ বিন ওয়াহিদ আলিফ।
এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহব্বত কবীর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমএএম/এইচজে