তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১ হাজার কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে যা মন্ত্রণালয়ের এ বছর কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ৫০ হাজারের চেয়ে ৫১ হাজার বেশি। কম্বোডিয়া, সিশেলস, হারজেগোবিনা, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং চীনে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত নতুন বছরে সরকারের শ্রম বাজারের পরিকল্পনা নিয়ে মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম রেজা বলেন, জেলাভিত্তিক কর্মসংস্থান বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ প্রথম পাঁচ জেলার স্থানে রয়েছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও ঢাকা। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী গেছে সৌদি আরবে। এরপর রয়েছে ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। মোট কর্মসংস্থান হওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ছিল দক্ষকর্মী ও আধা দক্ষ ছিল ২০ শতাংশ। নারীকর্মীর সংখ্যা ছিল ১ দশমিক ১১ লাখ।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্ধ বাজার খোলার জন্য সফল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে কার্যকরভাবে যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবুধাবি ডায়ালগে মন্ত্রী অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে রেকর্ড অব ডিসকাশন, জাপানের সঙ্গে মেমোরেন্ডাম অব কপোরেশন এবং সিশেলস এর সঙ্গে এগ্রিমেন্ট অন লেবার কপোরেশন সই হয়েছে। প্রথমবারের মতো জাপানে কেয়ার গিভার প্রেরণ করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ২০১৯ সালে প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা শতাংশের হারে ২০১৮ সালের চেয়ে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এসময় অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও অধিকার সুরক্ষার জন্য নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বিএমইটির মহাপরিচালক শামছুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) এর সভাপতি ফিরোজ মান্নান, সেক্রেটারি মাসউদুল হকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি/