সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং উন্নত হয়।
‘আপনারা যদি সেটা করতে না পারতেন তাহলে হয়তো এই উন্নয়ন করা সম্ভব হতো না। এটা হলো বাস্তবতা। ’
পুলিশকে জনতার হতে হবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া ও এবার মুজিববর্ষে আপনারা যে থিমটা নিয়ে এসেছেন, এবারের প্রতিপাদ্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বলেছেন ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার। ’
‘আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে। জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায়, পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে। ’
পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন ৯৯৯ করার ফলে এখন মানুষের সাংঘাতিক একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে। কোনো একটা জায়গায় অন্যায় দেখলেই, একজনের ওপর অন্যায় হচ্ছে অন্যজন সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে দেয়, পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিচ্ছে।
‘এতে পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে অনিহা ছিল সেটা কিন্তু এখন আর নাই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে। এটাই থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন। ’
পুলিশ বাহিনীর জন্য আলাদা মেডিক্যাল কোর গঠন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন>>কমিশনকে হাজতখানা বানানো দুদকের কাজ না: প্রধানমন্ত্রী
পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে সবার ততই উন্নতি করতে পারবো। আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, যত আমাদের অর্থনীতি মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে পারবো।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এছাড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এমইউএম/এএ