সোমবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলের পাশে রাস্তার ফুটপাতে মানববন্ধন করেন তারা। পরে বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা প্রথমে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিলে সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বনানী থেকে বিমানবন্দরগামী সড়কের একপাশে অবস্থান নেন তারা। এ সময় একপাশে যান-চলাচল বন্ধ থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশের অনুরোধে অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। তবে ওই সময় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে এ পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পড়ুন>>ছাত্রী ধর্ষণ: ঘটনাস্থলে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় বাংলনিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে তারা একপর্যায়ে সরে যান। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যেতে গিয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ওই ছাত্রী। বান্ধবীর বাসা শেওড়া হলেও ভুল করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নেমে যান তিনি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
পিএম/এমএ