সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা মুক্তমঞ্চে এসব কম্বল বিতরণ ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়।
এসময় মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যদি মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসাকে কারিকুলামের আওতায় এনে কেউ কিছু করে থাকে, সেটা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাই করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভিজিএফ কার্ডসহ সরকারিভাবে যা আসে তা আপনাদের বুঝিয়ে দেই। এই উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোই অনুন্নত ছিল যে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইতো না, ছেলে বউ আনতে যাইতো না। কারণ নৌকাও চলে না, পা ও চলে না এ রকম ছিল অবস্থা। আজ শেখ হাসিনার আমলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য যা করা দরকার তাও করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দলিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ কুরুণী, হাজী মোশারফ হোসেন, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ বকুল, আছমত আরা আছমা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মতিয়া চৌধুরী নালিতাবাড়ী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২২টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ‘টপটেন’ এক হাজার ৪৭০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কম্বল, এক হাজার ৫৬০ জন দরিদ্রের মধ্যে কম্বল এবং ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩১টি দাখিল মাদ্রাসার ৫১৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রণোদনা হিসেবে ৫০০ করে মোট ৫৯ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
আরএ