পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে গলায় ফাঁস নেন সাইফুল। তিনি বাউসা মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে।
সাইফুলের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, তার স্বামী মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে বিভিন্ন সময় পাবনার মানসিক হাসপাতালসহ ভারতের নানা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) আবারও তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরে সবার অগোচরে রান্নাঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বাঘার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, নিজ বাড়ির রান্নাঘরে আত্মহত্যা করেছেন শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। পরে তার আত্মহত্যার ঘটনাটি বাঘা থানায় জানানো হয়। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে বিকেলে স্থানীয়ভাবে গ্রামের গোরস্থানেই দাফন করা হয় ওই শিক্ষককে।
বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আতিকুর রেজা বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তবে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএস/এইচজে