ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে যুবককে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
যশোরে যুবককে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৭

যশোর: যশোরে কহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে অপহরণকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। 

রোববার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা ও যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ওরফে সুমনের বাড়ির একটি মেস থেকে তাদের আটক করা হয়।  

এসময় অপহৃত কহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

আটকরা হলেন- যশোর শহরের জেল রোড এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের জাহিদুল ইসলাম (৪৭), সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. নয়ন (৩৯), পাবনার ঈশ্বরদী থানার পিয়ারখালী গোরস্থানপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে সনি (৩৪), যশোর সদরের শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মোসলেম আলীর ছেলে রাব্বি হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬), যশোর শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার হোসেন আলী গাজীর ছেলে গোলাম রসুল (৩৬), শহরের মুড়লী আমতলী এলাকার হালিম ফকিরের ছেলে শওকত হোসেন ওরফে আপন (৩০) ও ষষ্ঠীতলা এলাকার বাসিন্দা শ্রীশ্যাম মণ্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (৩১)।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল হক জানান, গত ৪ জানুয়ারি অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট বিক্রির কথা বলে ফোন করে কহিদুলকে যশোরে ডেকে আনেন। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরের দিন ৫ জানুয়ারি বিকেলে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাউন্সিলর সুমনের মালিকানাধীন একটি মেস বাসায় তাকে আটকে রাখেন অপহরণকারীরা। এসময় তাকে মারধরও করা হয়। পরে তারা কহিদুলের বড়ভাই রাশিদুল ইসলামের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এসময় তারা ভিকটিমের কাছে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ১৯ হাজার ৬০০ টাকা হাতিয়ে নেন।  

তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে মাইকপট্টি এলাকা থেকে ভিকমিটকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কাউন্সিলর সুমনের মালিকানাধীন একটি মেস বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে আরও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, একটি ব্যাংক চেক, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন ও নষ্ট মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট জব্দ করা হয়।  

এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের ভাই যশোরের কোতয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
ইউজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।