সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে শর্শদি ইউনিয়নের শর্শদি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রী ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছেন।
ওই ছাত্রী আদালতকে জানান, অপহরণকারী ফেনী সদর উপজেলার চোছনা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাবিরুল ইসলাম মারুফকে আগে থেকে চিনতেন। অপহরণের আগে তাকে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসায় তুলে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে তিনদিন আটক করে রাখেন। আটক অবস্থায় তাকে (ছাত্রী) বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। রোববার রাত ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী সাবিরুল ইসলাম মারুফ পালিয়ে যায়।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাবিরুল ইসলাম মারুফ (২১) নামে একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপহরণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএইচডি/ওএইচ/