মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে রেলভবনের যমুনা হলে একাদশ জাতীয় সংসদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রেলের মোট ২৫৯ দশমিক ৫৭ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিগন্যাল সিস্টেমের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের চারটি স্টেশনের সিবিআই পদ্ধতির সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। এছাড়াও ১১টি স্টেশনের সিসিটিভি সিস্টেমের পরিবর্তন করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে মৈত্রী ট্রেন সপ্তাহে চার দিনের পরিবর্তে ছয় দিন এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন দিন চালু করা হবে। এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে জন্য ১০টি বিজি এবং ১০টি এমজি লোকোমোটিভ বিনা ভাড়ায় সংগ্রহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘ভারতীয় রেলওয়ে থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে জন্য ১০টি মিটারগেজ এবং ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বিনা ভাড়ায় সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। যা শিগগিরই বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। ’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. শামসুজ্জামান বলেন, ভারত থেকে ১০টি মিটারগেজ এবং ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ আনার জন্য জয়েন্ট সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি করা হয়েছিল। ভারতের যেখান থেকে এসব ইঞ্জিন নিয়ে আসা হবে, সেসব জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছেন এই কমিটির কারিগরি টিম। গত তিনদিন আগে টিম দেশে এসেছে। তারা রিপোর্ট দেবে। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে আমরা ইঞ্জিনগুলো ভারত থেকে নেবো। সেক্ষেত্রে খুব শিগগিরই আসবে বলে আমরা আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমএমআই/এসএ