সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার ইপিআই ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৭৪৮ জন শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী তিন লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫ জন শিশুকে লাল এবং নীল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় ১৪টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি দুই হাজার ১৬৭টি অস্থায়ী কেন্দ্র খোলা হবে। এছাড়া জেলার বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও রেলস্টেশনে ৩৬টি ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কেন্দ্র খোলা হবে। টিকাদান কেন্দ্র স্বাস্থ্য সহকারী, প্রথম সারির সুপারভাইজার এবং স্বেচ্ছাসেবীসহ মোট পাঁচ হাজার ৪৭৯ জন কর্মকর্তা কাজ করবেন।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান, আগামী ১১ জানুয়ারির পর ক্যাম্পেইন শেষ হলেও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে চারদিন স্বেচ্ছাসেবীরা ঘুরে ঘুরে বাদ পড়া শিশুদের অনুসন্ধান করে টিকা খাওয়াবেন।
তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। কিন্তু বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন থাকলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পেইন পরবর্তী সময় থেকে ১১ জানুয়ারি সারারাত প্রতিটি উপজেলার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের নিজ নিজ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিসিটি মো. ফজলুল করিমের সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. ননী ভূষন তালুকদার, সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
আরআইএস/