বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উদযাপন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব নয়, এই উদযাপনের লক্ষ্য জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করা; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতিকে নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।
‘২০২০ খ্রিস্টাব্দে আমাদের জাতীয় জীবনে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর উদযাপিত হতে যাচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী ১৭ই মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা যুগপৎভাবে চলতে থাকবে। ’
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ জাতীয় জীবনে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ১৭ই মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুজিব বর্ষের কাউন্টডাউন শুরু হবে।
** জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমইউএম/এমএ