মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা চাঁদপুরের মতলব উপজেলার হৈলাকান্দি গ্রামের বাহার আলীর মেয়ে।
সানজিদার মামা আশরাফুল ইসলাম ভাগনির আত্মহত্যা প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে জানান, চিরন রোডের ৬৯/ক নম্বর বাসার চারতলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সানজিদা। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। সহপাঠী সাহেল নামের এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার বাসাতেই ছিলেন সানজিদা। দুপুরের দিকে ফোনে সাহেলের সঙ্গে কথা বলার কিছু একটা নিয়ে রাগারাগি হয় তার। এরই এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস নেন তিনি।
আশরাফুল ইসলাম জানান, আজ দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ সাহেল তাদের বাসায় গিয়ে জানান, সানজিদা ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস নিয়েছে। তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতেই ফাঁস নেন সানজিদা। পরে স্বজনরা ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর শুনে তার প্রেমিক সাহেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে স্বজনদের মাধ্যমে সানজিদার মরদেহ ঢামেকে পাঠিয়ে দেয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া সানজিদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এইচজে