মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিগমনের কাঠামো বিন্যাস নিয়ে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি ঘটার আগেই বাধা দিচ্ছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, জনগণকে সচেতন করছে এবং সর্বশেষ অপরাধ ও অপরাধী শনাক্ত করে তাদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে।
তিনি বলেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুদক নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করছে। বিগত চার বছরে কমিশনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে হয়তো এ বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে যে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীদের সমভাবে আইন-আমলে আনা হচ্ছে। তবে এ কথাও ঠিক এতে স্বস্তির অবকাশ নেই। আমাদের দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি বন্ধ কিংবা সুশাসনের জন্য মাইন্ডসেট পরিবর্তন দরকার। তবে একথাও ঠিক পরিণত মানুষের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা কঠিন। তাই কমিশন তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মানসিকতা প্রস্ফূটিত করার জন্য বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নে পরিণত করতে হলে দুর্নীতি নির্মূল করতেই হবে। সরকারি পরিষেবা প্রদানে শুধু তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়রানি-অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ মেশিনের পেছনে যিনি আছেন তিনি কিন্তু মানুষ। তাই প্রযুক্তির পাশাপাশি সরকারি সেবা দেওয়া প্রক্রিয়াও পদ্ধতিগত সংস্কার করতে হবে।
অক্সফাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোস্তফিজুর রহমান ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক নাসিম আনোয়ার, উত্তম কুমার মণ্ডল প্রমুখ।
মতবিনিময়ে অক্সফাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি কমিশনের এসব কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
ডিএন/আরবি/