কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। আর ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৮ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
রাজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে যাচ্ছে। যে কারণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকভর্তি পণ্য আসতো। বর্তমানে মাত্র ১২০/১৩০ ট্রাক পণ্য আসছে। এ কারণে স্থলবন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। ফল আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ রাজস্ব আদায়ের কারণে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কিছু কিছু ফল আমদানিকারক অন্য বন্দর দিয়ে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ায় ওইসব বন্দর দিয়ে ফলসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করছে।
সব স্থলবন্দরগুলোতে সরকারের একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করা হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হবে এবং রাজস্ব আয়ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হবে বলে সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য বন্দরে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ওইসব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে। এ কারণে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এসএইচ/