বুধবার (০৮ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিমা খাত দেশের একটি সম্ভাবনাময় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত। সেজন্য বিমার ব্যপ্তি বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে বিমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি উদ্দেশে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন: বিমা মেলার আয়োজন, দেশব্যাপী বিমা সম্পর্কিত সভা-সেমিনার-শোভাযাত্রা-বিমা দাবি পরিশোধের আয়োজন ইত্যাদি। এছাড়া এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য বিমার বিস্তৃতি, জনসম্পৃক্ততা তথা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘জাতীয় বিমা নীতি-২০১৪’তে জাতীয় বিমা দিবসের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস পালনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে, এই জন্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর দেশীয় বিমা শিল্প সৃষ্টি হয় এবং ‘বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার-১৯৭২’, দ্য ইনস্যুরেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট-১৯৭৩’ এর মতো বিমা সংশ্লিষ্ট মৌলিক আইন প্রণীত হয়।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। প্রস্তাব ছিল ২ বা ৩ মার্চ করার। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেছে, বঙ্গবন্ধু ১ তারিখে যোগদান করেছিলেন, এটার সঙ্গে একটা ঐতিহাসিক দিনের সংযোগ আছে। ১ মার্চ দিয়ে এই দিনে অন্য কোনো দিবস থাকলে, সেটি সিফট করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এবং করে দেওয়া হয়েছে। ’
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ দিবসটি ‘ক’ শ্রেণি করতে বলেছিল; সেটাতে মন্ত্রিসভা রাজি হয়নি। কারণ ‘ক’ শ্রেণিরগুলো হলো আমাদের জাতীয় বিভিন্ন দিবস, যেমন: স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আর প্রোগ্রাম অরিয়েন্টেড, প্রমোশন ক্যাম্পেইন- সেগুলো ‘খ‘ শ্রেণি। সে কারণে এটাকে ‘খ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ