সরকার আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিবেচনায় আগামী ১০ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার সূচনা করা হবে।
খুলনা আঞ্চলিক তথ্য কার্যালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা ম.জাভেদ ইকবাল বলেন, জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি খুলনায় ‘চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরামের ব্যবস্থাপনায় ব্যতিক্রমধর্মী কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ১০ জানুয়ারি সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনির মাধ্যমে ‘কাউন্টডাউন প্রথম প্রহরে মুজিববর্ষ’ সূচনা করা হবে। সকাল সাড়ে নয়টায় বঙ্গবন্ধুর উপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শন, সোয়া ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মসন ১৯২০ সংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে ১৯২০শিশু বঙ্গবন্ধু, ১৯২০জন আলেম এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, জনপ্রতিনিধি ও খুলনা অঞ্চলের সব মুক্তিযোদ্ধা মুজিবকোট পরে একসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ করবেন এবং সবার অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ওই দিন বিকেল তিনটায় ঢাকা জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানটি খুলনার শহীদ হাদিস পার্ক থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য খুলনার সর্বস্তরের মানুষকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মুজিববর্ষে তরুণ প্রজন্মকে খেলায় উদ্বুদ্ধ করতে মুজিববর্ষে খুলনায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও একটি টেনিস টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের ইতিহাসে প্রথম একটি আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট ‘শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট’ আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সরকারি দফতরগুলোর সহযোগিতায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে বাইসাইকেল র্যালিরও আয়োজন করা হবে।
এছাড়া মুজিববর্ষে খুলনার সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বিশেষ রক্তদান কর্মসূচি ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। পরিবেশ সুরক্ষায় খুলনায় ‘পরিচ্ছন্ন খুলনা, পরিবেশ দূষণমুক্ত খুলনা’ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘উদ্যোক্তা ঋণ মেলার’ আয়োজন করা হবে। পাপাপাশি খুলনায় চলমান ‘গ্রিন বেল্ট’ কর্মসূচির আওতায় মুজিবর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ১৬ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়েছে। শিশু-কিশোরদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে বছরব্যাপী বইপড়া কর্মসূচি ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। ইতোমধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনা নগরীর বিভিন্ন স্থানে মুজিববর্ষের বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এমআরএম/এএটি