বুধবার (০৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ-ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে মেয়েটিকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, ওসিসি যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, মহিলা আইনজীবীরাও এখানে ফুল টাইম কাজ করছেন।
‘সব মিলিয়ে তিনি খুব ভালো একটা সাপোর্ট পাচ্ছেন। দ্রুত বিচারের কথা বললেও অনেক দিন লেগে যায়। এখানে ভিকটিমই কিন্তু সাক্ষী। তিনি যেহেতু সব কিছু বলতে পেরেছেন এজন্য এটা যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করার অনুরোধ করছি। ’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাগী এক সপ্তাহের মধ্যে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দিতে পারে। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যে সময়টা ধরা আছে তার আগেই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে মামলাটি। ফেনীর নুসরাতের বিচারের মতো এটিও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেতে পারে।
অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, আমরা ভারতের কেসটা (নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ড) দেখলাম, সাতবছর পরে জাজমেন্টে আসছে। এই যে সাতবছর, এটা কিন্তু অনেকদিন। সেটা যেন আমাদের না হয়। উচ্চ আদালতে যাতে দ্রুত বিচার শেষ হয় এটা আমাদের অনুরোধ থাকবে।
‘আমি মনে করি, গ্রেপ্তার ধর্ষকের একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে, যাতে কেউ এরকম ঘটনা ঘটানোর আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে। এটাই আমাদের অনুরোধ,’ যোগ করেন তিনি।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। এরপর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। এরপর থেকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ ও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সবকটি ইউনিট অপরাধীকে ধরতে একযোগে কাজ শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার দিনগত রাতে মজনু নাতে ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে ধর্ষণের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এজেডএস/এমএ