বুধবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্র।
সাক্ষাৎকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নেপাল ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল দু’টি দেশেই পর্যটনের বৈচিত্র্যময় পণ্য রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এবং বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ল্যান্ড লক রাজ্যগুলোর নিকটবর্তী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবন তাদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। পর্যটন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে আঞ্চলিক হাবে পরিণত করার কাজ চলমান রয়েছে। বিমানবন্দর দু’টির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর তা দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগের নতুন মাত্রা উম্মোচন করবে।
নেপালের পর্যটন সচিব কেদার বাহাদুর অধিকারী বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ নেপাল অত্যন্ত ভালো বন্ধু। নেপাল বাংলাদেশের এ বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ ও নেপালের সাংস্কৃতিক নৈকট্য ও পর্যটন দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে সহায়ক হবে।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশ ও নেপাল এ দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সেতুবন্ধন হিসেবে পর্যটন কাজ করতে পারে। পর্যটনের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিময় দু'দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা তৈরি করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
টিএম/আরআইএস/