বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী সংহতি সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী অরনী আনজুমের সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ প্রমুখ।
সমাবেশে সংহতি জ্ঞাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস এবং অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, মুখে সরকার যতই আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথা বলুক, দেশে যদি বর্বর নারী ধর্ষণের ঘটনা অব্যাহত থাকে তবে কোনো উন্নয়নকেই মহিমান্বিত করে না। দেশে ক্রমাগত নারী শিক্ষার হার বাড়ছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। এটি আমাদের জন্য খুশির খবর। পোশাক শিল্পে লাখ লাখ নারী শ্রম দিয়ে যে টাকা উপার্জন করছে, সেই টাকা দিয়ে আমরা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাচ্ছি। ঠিক সেসময় মানুষের মধ্যে এরকম পাশবিকতার বিকাশ ঘটবে এটা অকল্পনীয়। নারীরা ফ্যাক্টরির ভেতর নির্যাতিত হন, রাস্তায় ও ঘরে নিপীড়িত হন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নতি ভেঙ্গে পড়বে।
তিনি বলেন, প্রচলিত আইন ব্যবস্থায় এ ধরনের ‘অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার যে ব্যবস্থা রয়েছে তা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ’ এ রকম চলতে থাকলে প্রতিবাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় এ ধরনের অপরাধীকে যে আইনের আওতায় আনা হয়, শাস্তি দেওয়া হয়, বিচার করা হয় তাতে এ ধরনের ধর্ষণ-নির্যাতন থামানো যাবে না। এ ধরনের জঘন্য অপরাধের শাস্তিতে যেমন পরিবর্তন আনতে হবে, একই সঙ্গে এদেরকে প্রতিহত করার জন্য অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, নারী ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে বিচারহীনতার পরিণতিতেই কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ধর্ষক উৎপন্ন করছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে উন্নয়নের লোক দেখানো বুলির অন্তরালে রাষ্ট্র ব্যর্থ। এ রাষ্ট্র নারী তথা জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ, তাই এ ব্যবস্থা বদলের সময় এখনই।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এসকেবি/আরআইএস