মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) র্যাব-১১ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, আটক আলমগীর ২০১২ সালে কচুক্ষেতের একটি দোকানে চাকরি নেন। সেখানে চাকরি করার সময় তিনি সেনা বাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড ও ট্রাউজার সংগ্রহ করেন। পরে তিনি সেনা বাহিনী, পুলিশ ও র্যাব-এর পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।
তিনি জানান, আলমগীর সেনা সদস্য হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে ভুক্তভোগী দুই বোনের সঙ্গে খাতির জমিয়ে তাদের বাড়িতে কৌশলে আশ্রয় নেন। তারা দুই বোনই স্থানীয় একটি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সেখানে অবস্থানকালে তিনি তাদের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করেন এবং গত ২৫ ডিসেম্বর তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে চলে যান।
পরবর্তীতে আলমগীর তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং তার কথামতো ঘুরতে না গেলে আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আলমগীর গত ৩০ ডিসেম্বর দুই বোনকে কৌশলে তাদের ঢাকা থেকে কীর্তনখোলা লঞ্চের কেবিনে উঠিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে আলমগীর লঞ্চের কেবিনে দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাদের মারধর ও হত্যা করার চেষ্টা করেন।
পরদিন ভোরে দুই বোনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আলমগীর পালিয়ে যান। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় দুই বোনকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই দুই বোনের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার সত্যতা পায় র্যাব-১১। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আলমগীরকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আলমগীর সত্যতা স্বীকার করেছেন। আটক আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
আরআইএস/