বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের লাবণী পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ছবি নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনী, বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার, এরপর ১০০টি বেলুন ওড়ানো ও ১০০টি কবুতর অবমুক্তকরণ, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সবশেষ রাত ৯টায় আকাশে ওড়ানো হবে ১০০টি দৃষ্টিনন্দন
ফানুস।
পুরো সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) করা হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ক্ষণগণনাযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ জানুয়ারি তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে জেলা সদরের পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলাতেও ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
ক্ষণগননার উদ্বোধনী দিনে কক্সবাজার সমুদ্রপাড়ে অন্তত অর্ধলক্ষ লোক সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, একেকজনের একেক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিয়ে কোনো বিতর্ক-মতভেদ থাকার কথা নয়। তিনি না হলে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু এখন বিশ্ববন্ধু। তার স্মৃতির প্রতি সবার শ্রদ্ধা জানানো উচিত।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আবসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এসবি/একে