ভুক্তভোগী এ ছাত্রী এতদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতাল ছেড়ে যান তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সকালে মেডিক্যাল বোর্ড ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখেছেন। তারা কিছু পরামর্শসহ ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো সমস্যা হলে তিনি (ঢাবি ছাত্রী) এখানে আসবেন। আমরা সাতদিন পর তাকে ফলোআপে আসতে বলেছি। তার সুরক্ষা-চিকিৎসাসহ সব কিছুই মাথায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া, ঢামেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। সে (ছাত্রী) শারীরিকভাবে এখন সুস্থ। তবে তার মানসিকভাবে পুরোপুরি ঠিক হতে আমার মনে হয় আরও অনেক সময় লাগবে। যদিও তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। সে অবশ্যই পড়ালেখায় ফিরতে চায়। তার হাতে এখনো বই আছে এবং আমরাও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তার পরীক্ষাটা নেবো। তার পরীক্ষা নেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা উপাচার্য গ্রহণ করবেন।
এদিকে, মেয়ের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা। চিঠিতে তিনি ঢাবি কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, মিডিয়াকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছান, রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান সহপাঠীরা।
ধর্ষণের এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় মজনু (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯ (আপডেট: ১৩৩৭)
এজেডএস/একে