বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা।
এমন যানজটে নাকাল অবস্থা হয় রাজধানীবাসীর। দৈনন্দিন কাজে ঘর ছেড়ে বের হওয়া রাজধানীবাসীদের ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজ। বিশেষ করে কর্মমুখী মানুষজন পড়েছেন সময় সংকটে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলে নিতে যানবাহন ছাড়াই দীর্ঘপথ হেঁটে গন্তব্যে গেছেন অনেকেই। সকাল সকাল অফিসের উদ্দেশে যাত্রা করা পেশাজীবীরা পড়েন সব থেকে বেশি বিপাকে।
রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক কাওসার আহমেদ বলেন, জানতাম না এমন হবে। যে যানজট। অফিসে ঢোকার সময় তো শেষ। এখন হাঁটা শুরু করেছি। বিপাকে আছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান শেষমেষ আর স্কুলেই যায়নি। আবিদের মা সামসুন্নাহার বলেন, পল্লবী থেকে কোনোমতে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত এসেছি। এরপর থেকে গাড়ি আর নড়েই না। ওকে নিয়ে আর স্কুলে যেতে ইচ্ছে না আজকে। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
তবে বেলা আরেকটু গড়িয়ে এলে যানজট কমবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সার্জেন্টরা।
গাবতলী এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার বলেন, সকাল থেকে প্রচুর যানজট ছিল। সেই তুলনায় এখন একটু স্বাভাবিক বলা চলে। মহাখালী থেকে সব বাস এ রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর বা উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো এখন সাভার-নবীনগর বাইপাইল হয়ে যাচ্ছে। ফলে সকাল থেকেই এ সড়কটিতে গাড়ির বেশ চাপ।
আরও পড়ুন...
** ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট
** ইজতেমা কেন্দ্রিক যানজট বিমানবন্দর সড়কে
অন্যদিকে পরিস্থিতি যতোটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি ট্রাফিকের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার সাইফুল হক।
তিনি বলেন, সকাল থেকেই অধিক সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে কাজ করা হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে। আমি নিজেও ফিল্ডে থেকে কাজ করছি। কিছুক্ষণের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এসএইচএস/আরবি/